Frequently asked questions (FAQ)
No | Question | ||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
1 |
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ২৮ ধারার বিধান অনুসারে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকার এসএমই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।
ভিশন (Vision) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সর্বোপরিদারিদ্র্য বিমোচন। মিশন (Mission) মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং বিশ্বায়নের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাজমান উৎপাদন ও সেবাধর্মী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিকাশে বহুমূখী কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সহায়তা প্রদান। উদ্দেশ্য (Objectives)
|
||||||||||||||||||||||||||
2 |
১। এসএমই উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, প্রচার, প্রসার, উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক সংযোগ এবং সেতুবন্ধনের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন জাতীয় পর্যায়ে এসএমই মেলা আয়োজন করে থাকে। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনসমূহকে মেলা আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। ২। এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্য দেশী, বিদেশী ভোক্তা সাধারণ এবং বায়ারদের নিকট ব্যাপকভিত্তিক পরিচিতি, প্রচার এবং অধিকতর আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা এবং এসএমই পণ্য সম্পর্কীত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এসএমই ফাউন্ডেশনে একটি আন্তর্জাতিকমানের এসএমই প্রোডাক্ট ডিসপ্লে এন্ড ইনফরমেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। |
||||||||||||||||||||||||||
3 |
এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমসমূহ হলঃ
|
||||||||||||||||||||||||||
4 |
ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সর্বপ্রথম প্রয়োজন ব্যবসায়িক মনমানসিকতা অর্থাৎ ‘আমি ব্যবসা করব’ এ ধরণের মানসিক প্রস্তুতি। এরপর সঠিক দিক নির্দেশনা, মূলধন ও সম্পদের প্রাপ্যতা নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা।একটি সুষ্ঠু ব্যবসায় পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে একজন উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীকে তার লক্ষ্যেও দিকে পৌঁছতে সাহায্য করে। মূলধন ও সম্পদ ব্যবসার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলেও মুখ্য বিষয় নয়, কেননা সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর না হলে তাতে বিনিয়োগের সমূহ ক্ষতির আশংকা থাকে। বাংলাদেশে একজন ব্যবসায়ী হতে হলে আপনাকে পর্যায়ক্রমে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো নিম্নরূপঃ একঃ প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ‘আপনি ব্যবসা করবেন’। দুইঃ এরপর আপনাকে ঠিক করতে হবে কী ধরণের ব্যবসা করবেন? ট্রেডিং অথবা উৎপাদনমূলক অথবা সেবামূলক ব্যবসা। তিনঃ ব্যবসার ধরণ ঠিক করার পর আপনার ব্যবসা করার জন্য অফিস বা কারখানা করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করতে হবে। চারঃ স্থান বা অফিস ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি একক ব্যবসা করবেন না যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসা করবেন। পাঁচঃ একাকী বা যৌথ মালিকানাধীন যে ব্যবসাই করুন না কেন, আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক করতে হবে। যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ঠিক করতে হবে কাকে পার্টনার হিসেবে নিবেন। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর মাধ্যমে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ছয়ঃ ট্রেড লাইসন্স ছাড়া ব্যবসা করা বিধিসম্মত নয়। ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক কাজ। একজন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীকে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে, কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে, কিভাবে কোম্পানী রেজিষ্ট্রেশন, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স, ভ্যাট নিবন্ধন, এলসি খোলা, যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ আমদানি ও স্থাপন, প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরী, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিযোগাযোগ, জনশক্তি, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি করতে হবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও পণ্য উৎপাদন, পণ্য বিপণন, রপ্তানিকরণ, শুল্ক প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাও একজন ব্যবসায়ীর জন্য অত্যাবশ্যক। |
||||||||||||||||||||||||||
5 |
যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে অফিস বা ফ্যাক্টরির লে-আউট প্ল্যান, প্রতিবেশী দু’জনের (কমপক্ষে) অনাপত্তিপত্র, ঘর ভাড়ার রশিদ বা চুক্তিপত্রের কপি দাখিল করতে হবে। লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশসহ রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কর্তৃক ইস্যূকৃত ইনকর্পোরেশন (কোম্পানির নিবন্ধন) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যদি পাবলিক বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিভিত্তিতে ব্যবসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে গিয়ে প্রথমে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামের ছাড়পত্র নিতে হবে এবং এ ছাড়পত্রের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে কোম্পানির রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে। |
||||||||||||||||||||||||||
6 |
বাংলাদেশ থেকে নীটওয়্যার, ওভেন গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, চা,রাসায়নিক দ্রব্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, ফলমূল, মৃৎ শিল্প পণ্য, জাহাজ, ঔষধ, হোম টেক্সটাইল ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আমেরিকা, জার্মানী, ইউকে, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, কানাডা, স্পেন, ইটালী, তুর্কী, বেলজিয়াম, ভারত, জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, চীন, অষ্ট্রেলিয়া, হংকং প্রভৃতি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। নিম্নে ২০১০-১১ অর্থ বছরের রপ্তানি চিত্র তুলে ধরা হলোঃ
|
||||||||||||||||||||||||||
7 |
ট্রেড লাইসেন্স/ কোম্পানী রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াও ব্যবসা ভেদে নিম্নলিখিত রেজিষ্ট্রেশন/ সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন হয়ঃ
এছাড়াও, ব্যবসা ভেদে অন্যান্য রেজিষ্ট্রেশন/ সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হতে পারে। |
||||||||||||||||||||||||||
8 |
১। এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে নতুন ব্যবসা সৃষ্টি ও পরিচালনার বিষয়ে দিক নির্দেশনা, বিভিন্ন ধরণের তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে সহায়তা প্রদান করা হয়।এই সেন্টারের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা টেকনোলজী, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, মার্কেটিং, বিজনেস স্টার্টআপ, অর্থায়ন এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ সেবা পেয়ে থাকেন।এছাড়া, এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারে এসএমই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকাশনা রয়েছে যার মাধ্যমে একজন নতুন উদ্যোক্তা উপকৃত হতে পারেন। ২। এসএমই উদ্যোক্তাদের নতুন ব্যবসা স্থাপন এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ‘এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা রয়েছে। এই ম্যানুয়ালে ব্যবসায়িক দলিলাদি তৈরী, বিভিন্ন রেগুলেটরী এবং লিগ্যাল ইস্যূ, ট্যাক্স ও ভ্যাট, অর্থায়ন, আমদানি ও রপ্তানি পদ্ধতি, টেকনোলজী, কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন, বিপণন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ৩। বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি এসএমই ফাউন্ডেশন দেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। ৪। এসএমই ফাউন্ডেশন ছয়টি সম্ভাবনাময় খাতের উপর (কৃষিভিত্তিক ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, প্লাস্টিক ও সিনথেটিক শিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল শিল্প, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প এবং ফ্যাশন ডিজাইন ও পোশাক প্রস্তুত শিল্প) সেক্টর স্টাডি পরিচালনা এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব সেক্টর স্টাডি থেকে উদ্যোক্তাগণ তথ্য পেতে পারেন। |
||||||||||||||||||||||||||
9 |
ব্যবসায় পরিকল্পনায় নিম্নের বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্ত থাকেঃ
|
||||||||||||||||||||||||||
10 |
রপ্তানিকারক হিসেবে করণীয় বিষয়সমূহ নিম্নরূপঃ
|
||||||||||||||||||||||||||
11 |
যে কোন ব্যবসায়ে বিশেষতঃ রপ্তানি বাণিজ্যে ডকুমেন্টেশন হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডকুমেন্টসমূহ সঠিকভাবে তৈরী এবং দলিল করার উপর ব্যবসায়িক চুক্তি বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্ভর করে। অপরদিকে, ডকুমেন্টসমূহ সঠিকভাবে তৈরী করা না হলে সময়মত পণ্যের দাম না পাওয়াসহ নানা অসুবিধার সুষ্টি হতে পারে। সাধারণত দেশের বাইরে কোন মাল শিপমেন্টের আগে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসমূহ দাখিল করতে হয়ঃ (ক) রপ্তানি চুক্তির অনুলিপি, (খ) ঋণপত্রের অনুলিপি, (গ) এক্সপোর্ট ফরম, (ঘ) ইনভয়েস, (ঙ) প্যাকিং লিস্ট, (চ) বিল অব লেডিং বা এয়ারওয়ে বিল, (ছ) সার্টিফিকেট অব অরিজিন, (জ) বিল অব এক্সপোর্ট। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়ঃ (ক) স্যানিটারী এবং ফাইটো স্যানিটারী সার্টিফিকেট, (খ) কোয়ালিটি কন্ট্রোল সার্টিফিকেট, (গ) জিএসপি/সাপটা/জিএসটিপি সার্টিফিকেট. (ঘ) ইন্সপেকশন সার্টিফিকেট, (ঙ) যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে USFDA এর সহিত নিবন্ধন সনদ। তৈরী পোষাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সার্টিফিকেটগুলো প্রয়োজন হয়ঃ ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভূক্ত দেশসমূহে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইপিবি থেকে সার্টিফিকেট অব অরিজিন, জি,এস,পি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়। উল্লেখ্য যে, রপ্তানি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কি ধরণের এবং কয়টি ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে সে সম্পর্কে ঋণপত্রে উল্লেখ থাকে, যার উপর পরবর্তীতে বিলসমূহ নেগোশিয়েশন নির্ভর করে।
|
||||||||||||||||||||||||||
12 |
লাভজনক ব্যবসা বাছাই করার ক্ষেত্রে একজন এসএমই উদ্যোক্তার নিম্নের বিষয়সমূহ বিবেচনা করা দরকারঃ ১। বাজার জরিপের মাধ্যমে ব্যবসার ধারণা চিহ্নিতকরণ এবং লাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন কী-না তা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করা। ২। পণ্যের চাহিদার ভিত্তিতে সরবরাহ নিরূপণ। ৩। কাঁচামালের প্রাপ্যতা (স্থানীয় বা আমদানিকৃত), ঋতু নির্ভরতা, দাম প্রভৃতি যাচাই করা। ৪। যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে তা লাকসই কিংবা গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ। ৫। প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ শ্রমিকের প্রাপ্যতা, মজুরী প্রভৃতি। ৬। ব্যবসার প্রয়োজনীয় মূলধনের কত অংশ নিজে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং কত অংশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা আত্নীয় স্বজনের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ৭। সমজাতীয় ব্যবসায় বিপণন এলাকায় কি পরিমান সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ৮। প্রস্তাবিত ব্যবসার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি, পণ্য, বিপণন, সুযোগ-সুবিধা উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদের সাথে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ। ৯। ভূমি, উপকরণ, শ্রমিক, প্রযুক্তি, বাজার এবং বিপণনের সুযোগ কতটুকু। ১০। ব্যবসাটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণে কতটুকু সামর্থ ও আত্মবিশ্বাস রয়েছে। ১১। বিনিয়োগের উপর মুনাফার হার কতটুকু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক তা বিশ্লেষণ করা। |
||||||||||||||||||||||||||
13 |
একজন সফল উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী হতে হলে নিম্নের গুণগুলো থাকা জরুরীঃ ১। একজন সফল উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীকে সুযোগ সন্ধানী হতে হবে। নন-ট্রেডিশনাল বা নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে বের করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে।অর্থ, যন্ত্রপাতি, জমি, কাজের জায়গা অথবা অন্য কোন ধরণের সাহায্য পাওয়ার জন্য বিকল্প পথ খুঁজে বের করবে। ২। যেকোন বাঁধা দূর করা অথবা যে কোন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে বার বার পদক্ষেপ নিবেন। ৩। কাজকে সম্পন্ন করার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করবেন এবং আত্মত্যাগ করবেন। কাজকে সম্পন্ন করতে যে কোন ধরণের উদ্ভূত সমস্যার পূর্ণ দায়িত্ব নিবেন। ৪। যোগ্য ও দক্ষ হতে হবে। অতীতের সকল উৎকর্ষতাকে হার মানিয়ে নতুন এবং সবচাইতে ভাল যে রকম ক্রেতা চায় সেই রকমভাবে পণ্য বানানোর চেষ্টা করবেন। উন্নত, দ্রুত এবং সস্তায় পণ্য সরবরাহের জন্য পথ খুঁজে বের করবেন। ৫। পরিমিত ঝুঁকি গ্রহণ করার মনোভাব থাকতে হবে। ৬। পরিষ্কার ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করা। প্রয়োজনে তা বিবেচনা করে পূনর্বিন্যাস করা। ৭। উদ্দেশ্য পূরণ অথবা কোন সমস্যার স্বরুপ পরিস্কার হওয়ার জন্য নিজ থেকে তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। ৮। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরী এবং তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত করা। আর্থিক রেকর্ড রাখা এবং তা ব্যবসায় সিদ্ধান্ত গ্রহণেকাজে লাগানো। ৯। নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অন্যকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন ধরনের পথ ব্যবহার করা। ব্যবসায়িক যোগাযোগ তৈরী করা। ১০। কোন কঠিন কাজ সম্পন্ন করতে বা কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে নিজের ক্ষমতার উপর পূর্ণ আস্থা রাখা। |
||||||||||||||||||||||||||
14 |
গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকার বিবেচনায় জাতীয়শিল্পনীতি-২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এসএমই শিল্পখাতসমূহ হলোঃ কৃষিভিত্তিক ও কৃষিপণ্য/খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, প্লাষ্টিক শিল্প, তৈরী পোষাক শিল্প, নবায়ন যোগ্য শক্তি (সোলার পাওয়ার, উইন্ড মিল), পর্যটন শিল্প, আইসিটি পণ্য ও আইসিটি ভিত্তিক সেবা, ভেষজ ঔষধ শিল্প, পলিমার উৎপাদন শিল্প, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ফার্ণিচার, হস্তশিল্প, হিমায়িত মৎস্য শিল্প, চা শিল্প, হোম টেক্সটাইল, জাহাজ নির্মাণ ও পরিবেশ সম্মত জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, টিসু গ্রাফটিং ও বায়োপ্রযুক্তি (বায়োটেকনোলজী), জুয়েলারী, খেলনা, প্রসাধনী ও টয়লেট্রীজ ইত্যাদি। এসএমইউন্নয়ননীতিকৌশল-২০০৫ এ ১১টি এসএমই শিল্পখাতকে বুষ্টার খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসকল শিল্পখাতসমূহ হলো যথাক্রমে ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড মেটাল ওয়ার্কিং, এগ্রোপ্রসেসিং/ এগ্রিবিজনেস/প্লানটেশন এগ্রিকালচার/টিস্যু কালচার, চামড়া ও চামড়াজাত সামগ্রী, নিটওয়্যার এবং রেডিমেড গার্মেন্টস, প্লাষ্টিকস এবং অন্যান্য সিনথেটিক্স, স্বাস্থ্য সেবা এবং ডায়াগনস্টিক্স, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষা সেবা, ফার্মাসিউটিক্যালস/কসমেটিক্স/টয়লেট্রিজ, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার।
|